ভবন নির্মাণে জমি নির্বাচন করার সঠিক পদ্ধতি

বাণিজ্যিক , আবাসিক বা যেকোন বিল্ডিং ডিজাইন এবং নির্মাণের প্রক্রিয়াটি  সঠিকভাবে শুরুর  জন্য অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত রয়েছে  যা আপনাকে আপনার জীবনযাত্রার সাথে মানিয়ে নিখুঁত বা আদর্শ বিল্ডিং তৈরি করতে সক্ষম করবে। আপনাকে যে পর্যায়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে তা হল সাইট বা জমি নির্বাচন প্রক্রিয়া। বেশিরভাগ নির্মাণ প্রকৌশলী, বাড়ির মালিক এবং স্থপতিরা খুব কমই এদিকে নজর দেন। এটি হলো সমস্ত প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক যা একটি বিল্ডিং পরিকল্পনা ও নির্মাণের কাজটিকে সফল এবং সন্তোষজনক করে তোলে। সাইট বাছাইয়ের প্রক্রিয়া সাধারন মানুষের পক্ষে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, বিশেষত যারা সাইট জরিপ বা বিশ্লেষণে অভিজ্ঞ নয়।

বাড়ির জমি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশকিছু ফ্যাক্ট্রের দিক মাথায় রেখে নির্বাচন করতে হবে , যেগুলা ম্যাক্সিমাম সকল প্রকারের ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে একই , তবে বেশ কিছু পার্থক্য আছে বিল্ডিং এর প্রকারভেদ অনুসারে যেমন আবাসিক ভবন নির্মানে যেসব বিষয় দেখতে হয়, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং তার থেকে অবশ্যই আলাদা হবে, ডিজাইন স্ট্রাকচারও আলাদা হবে।যে সকল বিষয় সমুহ  দেখে জমি নির্বাচন করতে হবে তা নিম্নরুপঃ

  • জমি নির্বাচনের কারন/উদ্দেশ্য
  • সাইট লোকেশান এবং এক্সেসেবিলিটি
  • জমিতে Raw Material পরিবহনের সক্ষমতা
  • জমির ল্যান্ডস্কেপ, আকার, আকৃতি এবং টোপোগ্রাফি
  • জমির পারিপার্শ্বিক অবস্থা
  • সিকুরিটি সিস্টেম ও প্রতিবেশি সম্পর্কে নলেজ রাখা
  • পরিবহন ও যোগাযোগের সুবিধা
  • আইনী তথ্য – মালিকানা, সীমাবদ্ধতা বা চুক্তি, কাউন্সিল সম্পর্কিত তথ্য, ভবিষ্যতের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা
  • জমির দলিল পত্র-জমির মালিকানা এবং জমির দখলদার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে
  • সয়েল টাইপ- কোন প্রকারের মাটি আছে সেটা টেস্ট করে জানতে হবে
  • সমস্ত জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্য যেমন বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, বাতাসের দিকনির্দেশ, তাপমাত্রা, সমস্ত বছরের বিভিন্ন সময়ের তথ্য।

 

১. আবাসিক ভবন নির্মানে জমি নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় সমুহ হলঃ

আবাসিক ভবন মুলত বসবাসের জন্য ব্যবহার করা হয়, নিরিবিলি পরিবার পরিজন নিয়ে থাক হয়। সেজন্য একটু প্রাইভেসি রক্ষা করা দরকার এধরনের বিল্ডিং নির্মানের ক্ষেত্রে জমি নির্বাচনে। আবাসিক ভবন নির্মানে জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে___

প্লটের আকার/আকৃতিঃ যে কোনও ধরণের নির্মাণের জন্য প্লটের জ্যামিতিটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যা আপনার কাঠামোর উপস্থিতিকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রভাবিত করতে পারে। প্লটের আকারটি এমন হওয়া উচিত যাতে কম খরচে সহজেই নির্মাণ করা যায়। এবং ভবিষ্যতেও আপনি এটিকে আরও প্রসারিত করতে পারেন। আর বেশি রাস্তার প্লটকে একটি ভাল জমি হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

প্লটের অবস্থানঃ আবাসিক প্লটের চারপাশের অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্লটের দাম এবং সৌন্দর্যকে প্রভাবিত করে। অবশ্যই রাস্তার ধারের জমির দাম বেশি এবং সব মানুষের চাহিদা এটাই থাকে। প্লট নির্বাচন এমন হতে হবে যেখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সজহে পাওয়া যায় এবং একটি উপযুক্ত পরিবেশে যেখানে সব ধরণের দূষণ থেকে মুক্ত। মূল রাস্তার কাছে এটি কেনার চেষ্টা করা উচিত। কারণ প্রধান সড়ক থেকে দূরে অবস্থিত প্লটের তুলনায় এ জাতীয় প্লটগুলি বেশি মূল্যবান।

 

সেবামুলক সুবিধাঃ আবাসিক বিল্ডিংয়ের জন্য প্লট নির্বাচনের সময় অনেক সংখ্যক সুযোগ-সুবিধাসমূহের আছে কিনা সেগুলা দেখে নেওয়া উচিত। যেমন বিদ্যুৎ, টেলিফোন, ফ্যাক্স, ইন্টারনেট, গ্যাস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল ভাল এবং দ্রুত পরিবহন ব্যবস্থা। যাতে যোগাযোগ আরও দ্রুত এবং দ্রুত হয়।

ওয়াটার টেবিলঃ আবাসিক বিল্ডিংয়ের জায়গায় ওয়াটার টেবিলটি খুব বেশি হওয়া উচিত নয়। অন্যথায় এটি পানির গুণগতমানকে প্রভাবিত করবে যা পানীয় এবং ঘরোয়া উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ ওয়াটার টেবিলযুক্ত অন্যান্য প্লটের তুলনায় সাধারণ টেবিলযুক্ত  প্লটকে বেশি পছন্দ করা হয়।

 

ড্রেনেজ/নর্দমা ব্যবস্থাঃ আবাসিক প্লটগুলির জায়গায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে বাড়ির অতিরিক্ত জল সহজেই টানা যায় বিশেষত বৃষ্টি এবং বন্যায়। যদি কোনও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকে তবে নোংরা জলের প্রভাব বিল্ডিং এবং প্রতিবেশিদের জায়গায় গিয়ে পড়বে যা অন্যদের দুর্ভোগের কারন  হয়ে দাঁড়াবে।

মাটি পরীক্ষাঃ  নিঃসন্দেহে, একটি মাটি পরীক্ষা নির্মাণের আগে বিবেচনা করা প্রাথমিক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির মধ্যে একটি। এই মাটি পরীক্ষা  জমির এর ধরণ বা প্রকৃতি প্রকাশ করবে। তার ভিত্তিতে ইঞ্জিনিয়াররা একটি সঠিক ফাউন্ডেশন পদ্ধতির সুপারিশ করবেন, যা শেষ পর্যন্ত বিল্ডিংয়ের কাঠামো তৈরি করবে। অতএব, একটি জমি মূল্যায়ন করার সময় একটি মাটি পরীক্ষা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।বিভিন্ন জায়গার মাটির ভার বহন করার ক্ষমতাতে প্রচুর ভিন্নতা রয়েছে। যদি মাটির ভার বহন করার ক্ষমতা খুব কম হয় তবে আপনার একটি যোগ্য ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ডিজাইন করা একটি বিশেষ ফাউন্ডেশন বানাতে হবে।  গড়ে দুটি তলা বাড়ির ভারিং ক্ষমতা প্রায় 75 KN/m2 থাকে। যদি ল্যান্ডের মাটি এ জাতীয় ক্ষমতা প্রদর্শন না করে তবে মাটি আরও শক্তিশালী হওয়ার জন্য আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে পারেন বা আরও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

 

২. বানিজ্যিক ভবন নির্মানে জমি নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় সমুহ হলঃ

 

লোকেশানঃ  যেকোন বাণিজ্যিক ভবনের মূল্য তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে, সে অঞ্চলটির কেন্দ্রে বা সীমান্তে বা প্রধান রাস্তায় বা মূল সড়ক থেকে কত দূরে অবস্থিত সেতি জানা গুরুত্বপূর্ন ব্যপার। একটি ভাল বাণিজ্যিক বিল্ডিংয়ের জন্য এটি মূল রাস্তায় এবং অঞ্চলের কেন্দ্রে হওয়া উচিত।

জলবায়ু অঞ্চল: বিল্ডিংয়ের শক্তি এবং স্থায়িত্ব মূলত সেই অঞ্চলের জলবায়ুর উপর নির্ভর করে যেখানে এটি নির্মিত হতে চলেছে। যেহেতু বাণিজ্যিক ভবনগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যয়বহুল আকারের অর্থনৈতিক পয়েন্ট তাই এটি অবশ্যই অঞ্চলের শর্তাবলী অনুসারে তৈরি করা উচিত। যাতে এটি বন্যা, বৃষ্টিপাত, সাইক্লোন , তুষারপাত ইত্যাদি  থেকে নিরাপদ থাকতে পারে।

কাঁচামাল উপলভ্য: সাধারণত বাণিজ্যিক ভবনগুলিতে সাধারণ আবাসিক বাড়ির তুলনায় আরও নির্মাণ সামগ্রী প্রয়োজন হয়। সুতরাং বাণিজ্যিক ভবনটি নির্মাণের আগে এটি অবশ্যই নিশ্চিত হওয়া উচিত যে কাঁচামাল কাছাকাছি পাওয়া যায়। অন্যথায় এটি ইকোনোমিকাল হবে না।

নির্মান ব্যয় এবং সময়সীমা বাণিজ্যিক নির্মাণের আগে তদন্তের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভবনের জন্য ব্যয় এবং সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত। মূল্য এবং সময়সীমা মূলত অবস্থান এবং কাঁচামালগুলির প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে।

 

. এডুকেশনাল বিল্ডিং  নির্মানে জমি নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় সমুহ হলঃ

 

শিক্ষামুলক ভবন নির্মানের  জমি নির্বাচন করার সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত:

  • জমিটি স্বাস্থ্যকর এবং মনোরম পরিবেশে অবস্থিত হওয়া উচিত। শিক্ষামুলক ভবন সাধারনত শহরের কেন্দ্রস্থলে বা জনাকীর্ণ অঞ্চলে থাকা উচিত নয়। এটি শহর এলাকার বাইরে প্রতিষ্ঠিত করা উচিত। আপনি দেখবেন বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান গুলো শহরের বাইরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। শহর থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দুরেই করা হয় ম্যাক্সিমাম।
  • অদুর ভবিষ্যতের আরো নতুন নতুন বিল্ডিং বানানো যায় তেমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে ,যেখানে অনেক জায়গা রয়েছে তা নির্বাচন করা উচিত।
  • এ ধরনের বিল্ডিং এর সাইটটি কারখানার সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়া উচিত নয়। ধূমপায়ী এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে এ জাতীয় স্থানগুলি শিক্ষানবিদের শারীরিক সুস্বাস্থ্যের পক্ষে উপযুক্ত নয়।
  • জমি টা শ্মশানভূমি এবং বড় বড় খাল এবং নদী থেকে অনেক দূরে হওয়া উচিত।
  • সাইটটির ড্রেনেজ, পানির পাইপের ব্যবস্থা এবং আলোক ব্যবস্থা ইত্যাদির মতো প্রয়োজনীয় সরকারী পরি্সেবাগুলিতে সহজে অ্যাক্সেস নিশ্চিত করা উচিত। এটির মধ্যে অন্যান্য শারীরিক সুবিধার যেমন পার্ক, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রন্থাগার, রাস্তায় এবং আবাসিক আবাসনগুলির সঠিক সম্পর্কের স্থাপন হও্য় উচিত।
  • সাইটটি স্তরকে কিছুটা বাড়ানো উচিত এবং শুকনো হওয়া উচিত। বন্যার কবলে নিম্ন জমি এড়াতে যত্ন নেওয়া উচিত।সাইটের চারপাশে আনন্দদায়ক হওয়া উচিত যা শিক্ষার্থীদের   আরামদায়ক থাকার সুযোগ দেয়।
  • গ্রীষ্ম এবং শীতের জন্য উপযুক্ত সূর্যালোকের প্রবেশ করবে এমন সাইটের নির্বাচন করতে হবে, যেন সবসময় প্রচুর আলোবাতাস পাওয়া যায়।
  • আকার আকৃতি হ’ল আরেকটি ইতিবাচক বিষয় যা সাইটের জন্য প্রয়োগ করা দরকার। প্রশস্ত ফ্রন্টের সাথে সাইটের আয়তক্ষেত্রাকার আকৃতি থাকা ভাল। আকাবাকা শেইপ নির্বাচন করা উচিত না, যদি পর্যাপ্ত ল্যান্ড এরিয়া থাকে।
  • সাইটটি স্যাঁতসেঁতে এবং জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হওয়া উচিত। এটিতে ভাল মানের একটি পর্যাপ্ত ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহ থাকা উচিত।

 

. ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং  নির্মানে জমি নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয় সমুহ হলঃ

 

শিল্প ভবনগুলি প্রধানত অন্যান্য ব্যবহারের মধ্যে পণ্য উত্পাদন ও সঞ্চয়করণ / বিতরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবেঃ

  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং গুলো আমাদের দেশে নদীর তীরবর্তী হয় কেননা নদীপথে ভারী জিনিসগুলো আনা নেওয়া সহজ সেজন্য কিন্তু এক্ষেত্রে নদী দুষন হয় বহু মার্ত্রিক হারে। আর এ ধরনের বিল্ডিং এ প্রচুর শব্দ হয় সেজন্য যথা সম্ভব ফাকা জায়গায় করতে হবে।
  • ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং জনহবুহুল অঞ্চলে করা উচিত নয়, যেকোন মুহুর্তে বড়্রকম দূর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • এ ধরনের বিল্ডিং্যের জন্য ভিতরে প্রচুর স্পেস লাগে , সেজন্য অপেক্ষাকৃত বড় জমি চয়েস করতে হবে।
  • বড় আকারের নির্মাণে, বেশিরভাগ বহুজাতিক শিল্প বিল্ডিংগুলিতে তিন থেকে ছয় তলা এবং 5-10  kN/m2 এর সিলিং লোড থাকে। এজন্য যেখানে জমি নির্বাচন করবো সেই এলাকার উইন্ড ভেলোসিটি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে, তারপর ডিজাইনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে।
  • পাহাড় বা হিলি এরিয়া তে ট্রান্সপোর্টেশন ঝামেলা তাই ওসব এরিয়াতে ভবন করার আগে ভাল মত জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেন শ্রমিক এভেইলএবেল থাকে, কাচামাল সহজে নিয়ে জাওয়া যায়।
  • এ ধরনের বিল্ডিং এ ভারি ভারি মেশিনারি থাকে সেজন্য একটু শুষ্ক জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেন মেশিন গুলা ভিজে মরিচা না পড়ে যায়।
  • এ অঞ্চলের জলবায়ু সম্পর্কে জানতে হবে।
  • প্রায় সব ধরনের বিল্ডিং এ মাটি পরীক্ষার দরকার হয়, তাই মাটি পরীক্ষা করে সয়েল টাইপ জেনে নিতে হবে। এখন যদিও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং গুলো ফ্রেম স্ট্রাকচারে হয় তবুও নির্ণয় করে রাখতে হবে।
  • পরিবহন ব্যয় হ্রাস এবং গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর সময় কমাতে জমির অবস্থানগুলি গ্রাহকের কাছাকাছি নির্বাচন করা হয়।
  • ওই অঞ্চলের কর্পোরেট ট্যাক্স জেনে নিতে হবে। প্রতিবছর বিপুল পরিমান রাজস্ব সরকারের খাতে জমা হয়। সেগুলো সুনির্দিষ্ট ভাবে জেনে নিতে হবে।

 

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা  বুজতে পারি সাইট বা জমি নির্বাচন ভবন নির্মানের একদম প্রিলিমিনারি স্টেজ, এখানে ক্লায়েন্টের অবহেলা করার সুযোগ মোটেই নেই, এক্টুখানি দূর্ঘটনা হয়ে যেতে পারে সারা জীবনের কান্না। পূর্বপরিকল্পনা যেকোন কাজে সফলতা বয়ে আনে , কাজকে সহজ করে। তাই আমাদের ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

 

Similar post Links:

Leave a Comment

error: Content is protected !!