আবাসিক ভবন নির্মাণ

প্রত্যেক মানুষের  নিজের ও তার পরিবারের সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য সমুচিত মানের  জীবন ধারনের অধিকার রয়েছে । মানুষের জীবন ধারনের অন্যতম মৌলিক উপাদান হল বাসসস্থান । আমরা সামাজিক জীব , সমাজে বসবাস করি বলে আমাদের প্রত্যেকের ই বসত বাড়ির চাহিদা রয়েছে।

বিল্ডিং বা ভবনের অধিগ্রহন ও ব্যবহারের উপর বেশ কিছু প্রকারভেদ আছে, যেমন আবাসিক ভবন , বানিজ্যিক ভবন, শিক্ষামুলক ভবন, প্রাতিষ্ঠানিক ভবন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিল্ডিং , স্টোরেজ হ্যাজার্ড বিল্ডিং ইত্যাদি।যে কোন ভবন নির্মানে পূর্ব পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ন। এ পর্যায়ে মালিক ও স্থপতি/ইঞ্জিয়ারের মধ্যে ভবন নির্মানের কাঠামগত উন্নয়ন নিয়ে প্রাথমিক ধারনা দেওয়া হয়।আজকে আমরা আবাসিক ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে কী কী পূর্ব পরিকল্পনা নিতে হয় সেগুলা নিয়ে আলোচনা করবো।

সাইট নির্বাচনঃ এমন একটা জায়গা নির্বাচন করতে হবে যেখানে সিভিল সার্ভিসের সকল সুবিধা আছে যেমন ওয়াটার সাপ্লাই, বিদ্যুৎ ,গ্যাস, ড্রেনেজ সুবিধা, পর্যাপ্ত আলোবাতাস পূর্ন , সহজে যাতায়াত সুবিধা আছে, মাটির গুনাগুন ভাল থাকতে হবে, পার্শ্ববর্তী ভবনগুলোর অরিয়েন্টেশন দেখে বসবাসের উপযোগী এমন জায়গা সিলেক্ট করতে হবে।

সাইট বিশ্লেষনঃ এর উদ্দেশ্যটি হ’ল আমাদের ডিজাইন প্রক্রিয়া শুরুর আগে কোনও সাইট সম্পর্কে  অবহিত করা যাতে নকসা করার সময় স্থপতিদের সেই সুনির্দিষ্ট বিষয় গুলা মাথায় রেখে কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারেন। সাইট  বিশ্লেষণ করে সাইটের অবস্থান, আকার, টোপোগ্রাফি, জোনিং, ট্র্যাফিকের পরিস্থিতি এবং জলবায়ুর মতো বিষয়গুলিতে খেয়াল রাখা হয়।

যেসব বিষয় কালেক্ট করা হয় সাইট বিশ্লেষন করে__________

  • প্রকল্পের অবস্থান
  • সাইটের পারিপাশ্বিক অবস্থা এবং কি কি প্রভাব ফেলতে পারে আশে পাশে
  • আইনী তথ্য – মালিকানা, সীমাবদ্ধতা বা চুক্তি, কাউন্সিল সম্পর্কিত তথ্য, ভবিষ্যতের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা
  • সমস্ত জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্য যেমন বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, বাতাসের দিকনির্দেশ, তাপমাত্রা, সমস্ত বছরের বিভিন্ন সময়ের তথ্য।

জোনিং বিশ্লেষণঃ জোনিং বিশ্লেষণ হল একটি সম্পত্তির আইনী অধিকার নির্ধারণের জন্য একটি স্থাপত্য গবেষণা। আইন বা কোড যা কোনও সম্পত্তিতে কী তৈরি করতে পারে তার বিধিগুলি নির্ধারণ করে। জোনিং কোডগুলি বিল্ডিংগুলির অবস্থান, আকার, আকার এবং ব্যবহারকে সীমাবদ্ধ করে। সম্পত্তি জোনিং বিশ্লেষণ স্থানীয় জোনিং কোডগুলি তদন্ত করে দেখায় যে কোনও বিল্ডিং আইনত কীভাবে ব্যবহার করতে পারে পাশাপাশি তার অনুমোদিত আকার, উচ্চতা, বর্গ ফুটেজ, এটি কোনও প্রদত্ত সম্পত্তিতে কীভাবে অবস্থিত হতে পারে এবং অন্যান্য বিভিন্ন জোনিং প্রয়োজনীয়তাগুলি ব্যাখ্যা করতে হবে।

এক্সিটিং বিল্ডিং বিশ্লেষণঃ যখন কোনও প্রকল্পে এক বা একাধিক বিদ্যমান বিল্ডিং জড়িত থাকে তখন সমস্ত বিল্ডিংয়ের পুনরায় ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নির্ধারণ করতে হয়। কাঠামোগত এবং কোড সংক্রান্ত বিশ্লেষণ গুলো নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • প্রস্তাবিত বিল্ডিংয়ের উপযুক্ততা (উদাঃ, ফ্লোর এরিয়া, কলামের আকার, মেঝে থেকে মেঝে উচ্চতা এবং কম্পন এবং শাব্দ নিয়ন্ত্রণ)
  • উল্লম্ব লোড ভারবহন ক্ষমতা (উদাঃ, স্ল্যাব, বীম, গার্ডার এবং কলাম)
  • ভূমিকম্প প্রতিরোধের এবং পার্শ্বীয় লোড ক্ষমতা (উদাঃ, শেয়ার ওয়াল )
  • প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করা
  • অগ্নি ও জীবন-সুরক্ষা সিস্টেম
  • বিপজ্জনক উপাদান পরীক্ষা
  • বিল্ডিং সিস্টেমের মূল্যায়ন (তাপ, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ, ভেন্টিলেশন ,বৈদ্যুতিক সেবা ,স্যানিটারি বর্জ্য /নর্দমা )

 

 

কনস্ট্রাকশন বাজেটঃ একটি বিল্ডিং ডেভেলপমেন্টের জন্য জন্য 2 টি বাজেট বিবেচনা করতে হবে: সময় এবং অর্থব্যয়। সাধারণত আপনি অনুরূপ প্রকল্প বা অতীতের প্রকল্পগুলি দেখে কিছুটা পাবেন। এটি অভিজ্ঞদের পক্ষে সহজ ।এই সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য  প্রায়শই কোনও ঠিকাদার বা নির্মাণ পরিচালক আনতে পারেন। অবশ্যই তারা একটি পূর্ণ স্থাপত্য নকশা ছাড়া অনুমানক একটা বাজেটের ধারনা দিবে যেটা কম হতে পারে আবার বেশি হতে পারে।

নিম্নলিখিত ব্যবহৃত হয় কন্সট্রাকশন বাজেট এস্টিমেট করতে:

  • প্রতি বর্গফুট হিসেবে
  • বিল্ডিং সিস্টেম / উপাদান দ্বারা ব্যয়

 

প্রজেক্ট টিম সিলেকশন ঃ

এ পর্যায়ে আপনাকে একটা প্রজেক্ট টিম সিলেকশন করতে হবে , যেখানে এক এক জনের দায়িত্ব একেক রকম থাকবে। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি একটা প্রোপার গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। পুরো প্রজেক্টে এর শিডিউলিং তৈরি করতে হবে। সিডিউল অনুযায়ী একেকজনের কাছে একেক রকম হবে। প্রত্যেক কাজ তদারকির জন্য একজন ম্যানেজার থাকবে এবং ম্যানেজার এর আন্ডারে কয়েকজন লোক থাকবে। প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য একজন জেনারেল ম্যানেজার থাকবে, যে সমস্ত কাজ তদারকি করবেন।

 

পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণের আগে সবচেয়ে বেশি করে ভাবতে হয় এর অবকাঠামোগত দিক নিয়ে। দুইদিন পরপর তো আর বাড়ি করবেন না কেউ। ভূমিকম্পের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো অগ্নিকাণ্ডে যদি শখের বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং সেটি যদি মানুষের প্রাণহানির কারণ হয় তবে বিনিয়োগ ও জীবনের হুমকি দুই-ই থেকে যায়।তাই, বাড়িটি যেন হয় মজবুত, টেকসই, পরিবেশ বান্ধব সেইদিকে নজর রাখতে হবে।

 

সুদক্ষ ইঞ্জিয়ার ঃ অবকাঠামোগত উন্নয়নে একজন এক্সপেরিয়েন্সড ইঞ্জিয়ারের ভুমিকা অপরিসীম। কারন আর্কিটেক্ট রা ডিজাইন দিয়েই ওদের কাজ শেষ বাকি স্টাকচারাল পার্ট টা একজন ইঞ্জিয়ারকেই সামলাতে হয়। এ সময় দেখা যায় ডিজাইনে অনেক চেঞ্জ আসছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইঞ্জিয়ার আর্কিটেক্ট বিবাদ।কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্য রাখবেন আমাদের দেশে ইঞ্জিনিয়ারদের অবহেলার চোখে দেখা হয়।ক্লায়েন্টরা ইঞ্জিনিয়ারদের পেছনে টাকা ব্যয় করতে চায়না। তারা পুরো বিল্ডিংটা মিস্ত্রিদের উপর নির্ভর করে বানিয়ে ফেলে। মিস্ত্রিদের সঠিক ইঞ্জিয়ারিং নলেজ না থাকায় তারা অনুমান নির্ভর একটা স্টাকচারাল ফরমেট দাড় করাই,  যা কোটি টাকার বিল্ডিং নির্মানের জন্য বড় একটা হুমকি স্বরুপ।যিনি আপনার বাড়ির ভিত্তি (ফাউন্ডেশান), রড, সিমেন্টের সুষম ডিজাইন করে দিবেন। যা বাড়িকে ভূমিকম্প, ঝড় থেকে সুরক্ষা দিবে। এরা আপনার বাড়ির ডাক্তার। মোটেই অবহেলা করবেন না। আজকের একটু ভুলে ভবিষ্যতে অনেক মূল্য দিতে হতে পারে। আপনার বিনিয়োগ এবং জীবন পড়বে ঝুঁকির মুখে। তাই বাড়ি নির্মাণের আগে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার অথবা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দিন।

 

মাটি পরীক্ষা (সয়েল টেস্ট)ঃ বিল্ডিং এর ভূনিন্মস্থ মাটির পরীক্ষা করাকে ‘সয়েল টেস্ট’ বা ‘সাব-সয়েল ইনভেস্টিগেশন’ বলে। ভূনিন্মস্থ মাটির নিরাপদ #ভারবহন ক্ষমতা নিরুপণের জন্য সয়েল টেস্ট করা হয়।মাটি পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এটির মাধ্যমে ফাউন্ডেশন নির্বাচন করা হয়। মাটির বিয়ারিং ক্যাপাসিটি নির্নয় করা হয়। তারপর নির্বাচন করা হয় এটা কোন প্রকার ফাউন্ডেশন দিয়া যাবে।

প্রথমেই বলে রাখি আবাসিক ভবন ৪তালার কম হলে মাটি পরীক্ষা করার দরকার নেই, কিন্তু চারের অধিক ৫ তালা বা তার বেশি হইলে মাটি পরীক্ষা করতে হবে।অবশ্যই ভাল প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জিওটেক ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা মূল্যায়ন করিয়ে নিবেন। অনেকের মধ্য এই কাজটির মারাত্মক রকমের অবহেলা এবং টাকা বাঁচানোর প্রবনতা দেখা যায়। দয়া করে এমনটি কখনই করবেন না। মাটি পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। মাটি পরীক্ষার পূর্বে অবশ্যই আপনার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অথবা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে নিন। কারণ আপনার ভবনের উচ্চতার সাথে কত গভীরতায় বোরিং করতে হবে তা উনি আপনাকে বলে দিবেন। আচ্ছা ঠিক আছে সয়েল টেস্ট এর নিয়মাবলিগুলো জেনে নিনঃ

১. সাইট বা প্লট পরিদর্শন ও জরিপ করা।

২. ফিল্ডের অবস্থা অনুযায়ী বোরিং সংখ্যা ও স্থান  নির্বাচন করা এবং সেই অনুযায়ী বোরিং কাজ সম্পন্ন করা।

৩. প্রয়োজন অনুযায়ী বোরিং গভীরতা নির্ধারণ করা।

৪. প্রত্যেক বোরিং স্থানে মাটির অক্ষত এবং বিক্ষত নমুনা সংগ্রহ করা এবং ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা।

৫. বোরিং বা ড্রিলিং-এর সাহায্যে ৫ ফুট অন্তর মাটির এস.পি.টি (S.P.T) ভ্যালু নির্ণয় করা এবং মাটির নিরাপদ ভারবহন ক্ষমতা (সেফ বিয়ারিং ক্যাপাসিটি) বের করা।

৬. ফিল্ড টেস্ট এবং ল্যাব টেস্টেও ফলাফল বের করা।

৭. অবশেষে মাটি পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরী করা এবং সেই অনুযায়ী বাড়ির ফাউন্ডেশন সম্পর্কে মন্তব্য করা।

 

সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ারঃ বাড়ি তৈরির সময় একজন সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার রাখবেন, যাতে কাজের মান ভালভাবে এবং ড্রয়িং অনুযায়ী কাজটি সম্পূর্ণ হয়। কাজটাকে খুব নগন্য মনে হলেও, এটা জরুরি। আসুন একটা উদাহরণ দেই। আপনার বাড়ির কাজ করবার সময় কোনো কারনবশত একটা কলাম কিংবা বীম ঢালাইয়ের সময় আপনি উপস্থিত ছিলেন না। বা কংক্রিট মিক্সারে পানি বেশি কমের কারণে একটা ভুল হলো যা আপনার কাছে খুব ছোট বিষয়। কিন্তু আপনি কি জানেন ওই বীম বা কলামটি ভালভাবে ঢালাই না হলেও বিল্ডিংয়ের নিজস্ব ওজনে তা দাঁড়িয়ে থাকবে? অনেক বিল্ডিং দাঁড়িয়ে আছেও। কিন্তু বড় ধরনের ঝাঁকুনি নেয়ার মত শক্তি তার নেই। ভূমিকম্পে ঠিক ওই অংশে প্রথম ভাঙ্গন ধরবে। এটা হিসেব করে বলে দেয়া যায়।

দক্ষ মিস্ত্রিঃ ভাল অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজমিস্ত্রি খুজতে হবে। কেননা তারা যেন সুপারভিশন ইঞ্জিয়ারের কথা ,কাজ সহজে বুঝতে পারে। কিছু মিস্ত্রি আছে হাজরে মিস্ত্রি তাদের প্রতিদিনের মজুরি প্রতিদিন দিতে হয়। এক্ষত্রে আমি বলবো বিল্ডিং টা কন্টাক এ দিয়ে দিতে, এতে লাভ আছে , আবার কিছু সমস্যাও আছে।

ভূমিকম্পঃ এটা একটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পুরো বাংলাদেশ ৩ টা ভুমিকম্প অঞ্চলে বিভক্ত।বিএনবিসি কোড যাচাই-বাছাই করে বিল্ডিংটা কোন এরিয়ায় আছে প্রজেক্ট লোকেশন টা কোন এরিয়ায় আছে সে অনুযায়ী যাচ্ছে ডিজাইন করতে হবে।  অঞ্চল ভেদে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। সব গুলোর স্পেসিফিকেশন ফলো করে ডিজাইন করতে হবে। আবার একটা বিষয় রিলেট করি উইন্ড লোড। যেমন কক্সবাজার বা সমুদ্র এলাকায় উইন্ড লোড বেশি, এক্ষেত্রে আবাসিক ভবন নির্মানে বেশ কিছু ফ্যাক্টররের পরিবর্তন আনতে হবে। সর্বোপরি বিএনবিসি কোড টা ফলো করে ডিজাইন করতে হবে,  তা না হলে ডিজাইন এপ্রুভ হবে না।

অরিয়েন্টেশনঃ বিল্ডিং এর অরিয়েন্টেশন ঠিক রাখা জরুরি। উত্তর- দক্ষিন মুখী করে রাখা যেটা আসলে বাতাস আলো পর্যাপ্ত ঢুকতে পারে, পূর্ব পশ্চিমের রোদের তাপ থেকে বাচতে এটা মাথায় রাখা জরুরি। আর প্রচুর ডে লাইট পাওয়া যায় সাথে দক্ষিনা বাতাশ ত আছেই।

 

আবাসিক বাড়ি নির্মানে আরেকটা জিনিস কর‍অতে হবে যেটা বাড়ির সম্মুখ পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে, পৌরসভার একটা আইন আছে যে প্রোপাটি লাইনের চারিদিকে মিনিমাম ৩ ফিট জায়গা ছেড়ে বাড়ি বানাতে হবে। তাহলে আশে পাশে চলাচলের জন্য জায়গা পাওয়া যাবে।

একজন মানুষ হিসেবে মানবিকতাবোধ থেকে কিছু বিষয় মাথা রাখতে হয়। তারমধ্যে অন্যতম হলো বাড়িটি যেন সমাজ বা পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে।পাইলিং করতে গিয়ে অন্য বাড়ির ফাউন্ডেশনের সমস্যা না হয় সেদিকে যথাযত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাইল হ্যামারিং করলে মাটিতে অনেক কম্পন সৃষ্টি হয় যা আশেপাশের বাড়ির জন্য ক্ষতিকর।

 

রিসোর্স ম্যাটেরিয়ালঃ ইট, বালি , রড ,সিমেন্ট এগুলার গুনগত মান ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিয়া, রডের ক্ষেত্রে গ্রেডিং ঠিক আছে কিনা তা দেখে নিতে হবে, গ্রেড (৪০,৬০,৭৫) এর রড কিনছেন দোকানি কি সব রড ঠিক গ্রেড এবং একই কোম্পানির দিয়েছে কিনা এটা নিশ্চিত করুন। একবার মিলিয়ে নিন আপনার ডিজাইনে কোন গ্রেডের রডের কথা বলা আছে।

আমাদের দেশে তুলনামুলক ভাবে সিমেন্টের মান ভাল। তবুও কেনার পূর্বে টেস্ট রিপোর্ট দেখে নিতে পারেন। বালির ক্ষেত্রে এফ এম চেক করতে হবে। সাভার স্যান্ড, পদ্মা স্যান্ড বেশ ভাল মানের বালি।

 

উপোরক্ত বিষয়াদি একটা আবাসিক ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত।

 

7 thoughts on “আবাসিক ভবন নির্মানে যেসব পূর্ব পরিকল্পনা রাখতে হয় – Civil Experience”

  1. মাটি পরীক্ষা তে অনেক অবহেলা করা হয়,বিষয় টা আগে অবগত ছিলাম না। এখন জানলাম। সামনে বাড়ি করতে গেলে কাজে লাগবে

    Reply
  2. ভবন নির্মানের জন্য কথা গুলো মানা অত্যন্ত জরুরি 0❤️

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!