ডুপ্লেক্স বাড়ির নকশা তৈরির গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় সমূহ

ডুপ্লেক্স বাড়ির নকশা:  ডুপ্লেক্স বাড়ি সহজ ভাষায় বলতে গেলে মূলত দুতলা বাড়ি বা টু ইন ওয়ান। ড্রইংরুম, ডাইনিং রুম, কিচেন, গেস্টবেড এবং স্টোর সহ অন্যান্য কমন রুম গুলা নিচ তলায় থাকে থাকে। নিচ তলায় পর্যাপ্ত ফ্লোর স্পেস ফাকা রাখা হয়।আমাদের দেশে শৌখিন মানুষজন এধরনের বাসা বেশি ব্যবহার করেন।

ডুপ্লেক্স ভবনের একক মালিক আছে, যিনি দুইটি ইউনিটের একটিতে থাকতে পারেন বা নাও থাকতে পারেন। যদি ডুপ্লেক্সের মালিক ভাড়াটেদের একটি বা উভয় ইউনিট ভাড়া দেয় তাহলে মাঝে একটা পার্টিশান দিয়ে দুটি ইউনিট আলাদা করা হয়। আজকাল, একটি ডুপ্লেক্স ভবনে বসবাসের ধারণাটি এত বিরল নয়। বাংলাদেশের মানুষ এখন  বাড়তি সুবিধার জন্য ডুপ্লেক্স হাউসের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। যদিও দাম কিছুটা বেশি মনে হতে পারে তারপরেও মানুষের বিলাসিতার কমতি নেই।

ডুপ্লেক্স বাড়ি তৈরির জন্য প্রয়োজন একটি পরিকল্পনা, সময় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থ। অতএব, সর্বাধিক মানুষ এই বাড়ি বানানোর জন্য  হাউস লোন বা উন্নয়নশীল কোম্পানীর কাছে যায়। বিল্ডিং হয়ে গেলে, আপনি ব্যাংক বা ঋণদাতার কাছে বন্ধক পরিশোধ করতে পারেন।

ডুপ্লেক্স বাড়ির সুবিধা

ডুপ্লেক্স হাউস হল এক ধরনের বিলাসবহুল বাড়ি যা মানুষ তাদের নিজেদের আবাসিক প্রয়োজনে অথবা বিনিয়োগের সম্পত্তি হিসেবে কিনে নেয়। কারণ যাই হোক না কেন, যদি আপনি একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি কেনার/ বানানোর পরিকল্পনা করছেন, চুক্তি করার আগে সাবধানে চিন্তা করুন। কারণ প্রতিটি ডুপ্লেক্স সুবিধা এবং অসুবিধা আছে সেগুলা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

ডুপ্লেক্স হাউসগুলিতে প্রশস্ত লিভিং রুম, বেডরুম, রান্নাঘরের থাকায় এটি শিশুদের জন্য  খেলার ক্ষেত্রের জন্য একটি ব্যক্তিগত জায়গা তৈরি করতেও সহায়তা করে। একটি ডুপ্লেক্স হাউসে ৬ – ৮  জন সদস্য থাকতে পারে কারণ এটি তাদের নিজস্ব জায়গা নিয়ে কাজ করা আরও প্রশস্ত এবং আরও আরামদায়ক।

ডুপ্লেক্স বাড়ি আপনাকে  স্বাধীনতা প্রদান করে। আপনি চাইলে ঘরটি কাস্টমাইজ করতে পারেন।এটি আপনার পারিবারিক অবস্থার সাথে আরও ভালভাবে মানানসই হতে পারে। একই ছাদের নিচে তিন প্রজন্ম বা তারও বেশি সময় ধরে বসবাস করা খুব সাধারণ হয়ে উঠছে। যাইহোক, এতগুলি লোকের সাথে একটি থাকার জায়গা ভাগ করে নেওয়ার সাথে শান্তি বজায় রাখা কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি আপনাকে বিভাজন এবং আরও ভাল বরাদ্দ করার অনুমতি দেয় এবং প্রত্যেককে তাদের নিজস্ব প্রাইভেসি অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।

ডুপ্লেক্স বাড়ির ডিজাইন
ডুপ্লেক্স বাড়ির ডিজাইন

ডুপ্লেক্স বাড়ির অসুবিধা

  • মাঝে মধ্যে মেরামত করতে হয়
  • বেশ ব্যয়বহুল প্রজেক্ট এই ডুপ্লেক্স বাড়ি
  • ভাড়াটে এবং বাড়িওয়ালারা প্রায়ই ভাল হয় না, যার ফলস্বরূপ সমস্যা এবং অনুরোধের মুখোমুখি হতে পারেন।
  • দেয়ালগুলি ভালভাবে ইনসুলেটেড না থাকলে তীব্র নয়েজ সৃষ্টি হতে পারে, এজন্য আর্কিটেকচারাল একুয়াস্টিক্যাল ট্রিট্মেন্ট জরুরি।
  • আয়ের  নিশ্চয়তার নির্দিষ্ট কোন  উৎস নেই। …
  • সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হয় না।
  • সঠিক ভাড়াটিয়া পাওয়া যায় না।
  • সীমিত বিকল্প ব্যবস্থা।

Duplex House Plans & Designs

ডুপ্লেক্স হাউজের জন্য বেসিক রিকুয়ারমেন্ট

  • মাস্টার বেডরুম
  • শিশুদের বেডরুম
  • টেরেস
  • কমন টয়লেট
  • পরিবহন
  • রান্নাঘর
  • ডাইনিং

তিনটি সর্বাধিক নকশা নীতি রয়েছে যা কখন বিবেচনায় নেওয়া উচিত ডুপ্লেক্স বা ট্রিপ্লেক্স ডিজাইন করা। এগুলা হলঃ

আশেপাশের প্রেক্ষাপট – নকশাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ, পরিপূরক বা উন্নত হওয়া উচিত নিকটবর্তী এলাকার নকশা চরিত্রের উপর।একটি ডুপ্লেক্স বা ট্রিপ্লেক্স ডেভেলপমেন্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিশ্চিত করার জন্য স্ট্রিটস্কেপ বিশ্লেষণ, নকশার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত তার আশপাশের চরিত্র নিম্নলিখিত সম্বোধন করবেঃ

  • নকশা এবং উপকরণের মান রাস্তার দৃশ্যের জন্য ইতিবাচক অবদান রাখবে।
  • নকশা, বিন্যাস, ল্যান্ডস্কেপিং এবং রঙে পার্থক্য একটি ডুপ্লেক্স বা একটি ট্রিপ্লেক্স সমন্বিত ইউনিটের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য সব ব্যবহার করা হবে বিল্ডিং এটি প্রতিটি ইউনিটের স্বতন্ত্রতাকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে।

ডিজাইনে বৈচিত্র্য ডুপ্লেক্স বা ট্রিপ্লেক্সে নকশা উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা সাহায্য করে বিল্ডিংয়ের প্রতিটি আবাসের নকশায় স্বতন্ত্রতা প্রদান করুন ইউনিট, এবং যা দেখতে আকর্ষণীয়।

ল্যান্ডস্কেপিং – নকশাটি সামনের গজ ল্যান্ডস্কেপিংকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যা এটিকে শক্তিশালী করে বাসস্থান ইউনিটগুলির স্বতন্ত্রতা, বিল্ডিংয়ের প্রান্তগুলি নরম করে ।ল্যান্ডস্কেপিং ডিজাইন এ গুরুত্ব দিয়া  উচিত যাতে যায় যে দুটি বা তিনটি স্বতন্ত্র বাসস্থান – অভিন্নতা বা “মিরর ইমেজ” ল্যান্ডস্কেপ লেআউট এড়ানো উচিত।

আপনি যদি, আপনার প্রকৃতিকে রক্ষা করতে চান তাহলে গ্রীন বিল্ডিংস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. তাই গ্রীন বিল্ডিং সম্পর্কে আরো ভালো কিছু জানতে এই ব্লগ টি আপনার জন্য.
ডুপ্লেক্স বাড়ির ডিজাইন
ডুপ্লেক্স বাড়ির ডিজাইন

আধুনিক ডুপ্লেক্স বাড়ির যেসব বৈশিষ্ট থাকতে হবেঃ

ডুপ্লেক্স ডিজাইন করার সময় অবশ্যই ভাল মানের আর্কিটেক্ট /ইঞ্জিয়ারের কাছ থেকে করে নিতে হিবে। ডুপ্লেক্স বাড়ির ডিজাইন টিপিক্যাল বাড়ির ডিজাইন থেকে কিছুটা ভিন্ন, সেজন্য অবশ্যই ইঞ্জিয়ার/ আর্কিটেক্ত দিয়ে করিয়ে নিতে হিবে।

অল্প কিছু টাকা ইঞ্জিয়ারদের পিছনে ব্যয় করতে কোন রকঅম কৃপনতা করবেন না, একটাইয় ত বাড়ি বানাবেন্‌ হোক সেটা অধিকতর স্থায়ী এবং নান্দনিক।প্লান তৈরী করার সময় একজন ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক সর্বদা খেয়াল রাখেন যেন বাড়ির মালিক জমির সঠিক ব্যাবহার এবং প্লানটির দ্বারা উপকৃত হতে পারেন।

  • জমির আইনী তথ্য – মালিকানা, সীমাবদ্ধতা বা চুক্তি, কাউন্সিল সম্পর্কিত তথ্য, ভবিষ্যতের নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা ঠিক আছে কিনা।
  • গ্রীষ্ম এবং শীতের জন্য উপযুক্ত সূর্যালোকের প্রবেশ করবে এমন  সাইটের নির্বাচন করতে হবে, যেন সবসময় প্রচুর আলোবাতাস পাওয়া যায়।
  • যদি মাটি পরীক্ষার দরকার হয়, তাই মাটি পরীক্ষা করে সয়েল টাইপ জেনে নিতে হবে।এতে করে ফাউন্ডেশন টাইপ জানতে পারলে ভবন ব্যয় অনেকাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব।
  • ভৌগলিক দিক (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ) বিবেচনা করে নির্মান করতে হবে।
  • ডুপ্লেক্স বাড়ীর প্লানের কক্ষ বা রুমের সাইজ প্রচলিত বিল্ডিং এর রুমের সাইজের চেয়ে একটু বড় হয়।
  • সমস্ত জলবায়ু সম্পর্কিত তথ্য যেমন বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, বাতাসের দিকনির্দেশ, তাপমাত্রা, সমস্ত বছরের বিভিন্ন সময়ের তথ্য জেনে প্লান করা।
  • আলো, বাতাস, পানি, গ্যাস এবং পয়ঃনিষ্কাশন(স্যানিটেশন) ইত্যাদির সুষ্ঠ ব্যবস্থা রাখা।
  • নিরাপত্তা(Privacy) এবং সৌন্দর্য্যবর্ধনের সাহায্য করে এমনভাবে বাড়ির ডিজাইন করা ।
  • অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার রাখা ইত্যাদি।

ডুপ্লেক্স বাড়ির নির্মান ব্যয়ের হিসাব

এটি নির্ভর করে যে আপনি বাংলাদেশে কোথায় একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ করতে চান। সিলেট, খুলনা বা ময়মনসিংহ বা রাজশাহীর মতো অন্যান্য শহরের তুলনায় ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো প্রধান শহরে সামগ্রিক লেবার খরচ ও ম্যাটেরিয়াল খরচ বেশি হবে।

তা ছাড়া নির্মাণ খরচ নির্ভর করে নির্মাণের ধরন, তার সমাপ্তি, এক জায়গায় নির্মাণের মোট এলাকা এবং এক সাথে, সময় ব্যবধান, অর্থের প্রাপ্যতা, ঠিকাদারের অভিজ্ঞতা, নির্মাণ যন্ত্রপাতিগুলির প্রাপ্যতা, নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রাপ্যতা, ইস্পাত, সিমেন্ট, ইট, যোগদানের জন্য কাঠ, বাজার থেকে নির্মাণ স্থানের শ্রম দূরত্ব ইত্যাদি।

উপরোক্ত বিষয়গুলো জানা না থাকলে নির্মাণের জন্য মূল্য ঘোষণার কোন নিয়ম নেই। শুধু একটি ধারণার জন্য: বাংলাদেশে গড়ে প্রতি বর্গফুট ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণ খরচ হবে ১৮০০-২৫০০/ – টাকা। সে হিসেবে ধরনে আপনার একটা ১৫০০ স্কয়ার ফুটের জমি আছে সেখানে বাড়ি করলে নির্মান ব্যয় হবে প্রায় ৩৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।

এরপর পছন্দের ইন্টেরিওর ডিজাইন করলে নির্মান খরচ বাড়বে। ইন্টেরিওর ডিজাইন একান্তই ক্লায়েন্টের উপর নির্ভর করে।

ভূমি ছাড়পত্র এবং নকশা অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষ অনুমোদন (রাজউক) প্রয়োজন। ৪ ধরনের ড্রয়িং রাজউক/পৌরসভা থেকে অনুমোদন নিয়ে নিতে হবেঃ

  • স্ট্রাকচারাল
  • আর্কিটেকচারাল
  • ইলেক্ট্রিকাল ড্রয়িং
  • স্যানেটারি প্লাম্বিং

এই ওয়েব সাইটের প্রিভিয়াস কন্টেন থেকে আপ্নারা ইতোমধ্যে জেনেছেন বাড়ির প্লানের খরচ। তারপরেও আবারও বলি যে , একজন ইঞ্জিয়ার/আর্কিটেক্ট ড্রয়িং প্লান প্রতি স্কয়ার ফিটে ১০-২০ টাকা নেয়। অর্থাৎ মনে করেন ১৫০০ স্কায়রফিট ডুপ্লেক্স বাড়ির প্লানের জন্য প্রায় ১৫,০০০-৩০,০০০ টাকা  খরচ হয় । এরপর থ্রিডাইমেনশনাল ইন্টিরিওর ও এক্সটেরিওর ডিজাইনের জন্য প্রতি বর্গফুট ৩০-৫০ টাকা নেয়। এই সামান্য অর্থ ব্যয় করতে যেন কার্পন্য করবেন না। অল্প কয়েক্ টা টাকার জন্য আপনার শখের বাড়িটি টেক্সই নাও হতে পারে, তাই অভিজ্ঞ ইঞ্জিয়ার দ্বারা দেখিয়ে প্রোপার এস্টিমেটের মাধ্যমে সব কিছু এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

নিচে একটি ছকে ভবনের বিভিন্ন অংশের ও বিভিন্ন  এক্টিভিটির সাথে ভবন ব্যয়ের হিসাব দেখান হলঃ

প্রকৌশলী/স্থপতিভবন ব্যয়ের=4%
সীমানা প্রাচীর ও প্রধান গেটভবন ব্যয়ের=2%
লেআউট এবং খননভবন ব্যয়ের=3%
ইটভবন ব্যয়ের=৯%
রডভবন ব্যয়ের=১৫%
পাথর/খোয়াভবন ব্যয়ের=৫%
বালিভবন ব্যয়ের=৪%
সিমেন্টভবন ব্যয়ের=১১%
গভীরতা নির্নয়ভবন ব্যয়ের=৫%
বোর ওয়েলভবন ব্যয়ের=৩%
ফ্লোরভবন ব্যয়ের=৫%
শাটারিংভবন ব্যয়ের=৩%
দরজা জানালাভবন ব্যয়ের=৬%
ইলেক্ট্রিকাল কাজভবন ব্যয়ের=৫%
পেইন্টিংভবন ব্যয়ের=৫%
শ্রমিকভবন ব্যয়ের=৬%
ডুপ্লেক্স বাড়ির নকশা
ডুপ্লেক্স বাড়ির নকশা

আধুনিক ডুপ্লেক্স বাড়ির যেভাবে  নির্মাণ খরচ কমিয়ে আনা যায়

ইঞ্জিয়ার / আর্কিটেক্ট কতৃক নির্মিত নকশা দিয়ে এস্টিমেট করে বাড়ির নির্মান ব্যয়ের একটা প্রাথমিক ধারনা পাওয়া যায় । বেশ কিছু ফ্যাক্টর মাথায় রেখে নির্মান ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব।সঠিক পরিকল্পনা ও তদারকির মাধ্যমে এবং নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ কাজের যথাযথ গুণগতমান বজায় রেখে একটা বাড়ির ২০-৩০ % ভবন ব্যয় কমিয়ে আনা যায়।

নির্মান ব্যয় কমানো বলতে নিম্ন মানের বাড়ি নয়, আসলে দক্ষ ইঞ্জিয়ার, আর্কিটেক্ট, সাইট ইঞ্জিয়ার, প্রজেক্ত ম্যানেজার, দক্ষ লেবার, সঠিক বাড়ির প্লান, ডিজাইন, এস্টিমেট, সয়েলটেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে একজন ক্লায়েন্ট ভবন ব্যয় ২০-৩০% কমিয়ে নিতে পারে।

  • জমির মাপ অনুযায়ী সঠিক ভাবে বাড়ির প্ল্যান তৈরী করা হলে নির্মাণ খরচ কমানো সম্ভব।
  • হলো ব্রিক বা সিরামিক ব্রিক ব্যবহার করলে ওয়াল প্লাস্টারের প্রয়োজন হয় না, জাস্ট পালিশ করলেই হয়।এটা বেশ সাশ্র্যয়ী ,পরিবেশবান্ধব এবং দেখতেও নান্দিক হয়।
  • বিদেশী সামগ্রীর পরিবর্তে দেশীয় গুনগত মান সম্পন্ন ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করা।
  • দক্ষ সাইট ইঞ্জিয়ারের মাধ্যমে সুপারভিশন করলে নির্মান ব্যয় ২০% কমে যায়, সাথে গুনগত মান ও বজায় রাখা যায়।
  • বাড়ি নির্মাণ খরচ কমানোর জন্য ছাদের Roofing Compound ব্যবহার করা যায়।
  • বিদেশী কোম্পানির পরিবর্তে ভাল মানের দেশীয় স্যানিটারি সামগ্রীর ব্যবহার করে বাড়ি নির্মাণ খরচ অনেকটা কমানো যায়।
  • প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন- বন্যা, ঝড়, বৃষ্টি, দূর্যোগ আবহাওয়া, ভূমিকম্প ইত্যাদি দিক বিবেচনা করে নির্মাণ পরিকল্পনা করা হলে ব্যয় অনেকটা কমানো যায়।
  • লোকাল এরিয়া থেকে মালামাল কিনলে ট্রান্সপোর্টেশন কস্ট কমানো সম্ভব।
  • বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল বা নির্মাণ সামগ্রীর উপর বাড়ির নির্মাণ খরচ নির্ভর করে। কোন জায়গা থেকে ইট আসবে, কোন জায়গা থেকে পাথর, কোন কোম্পানির রড ভালো, রডের স্পেসিফিকেশন, রডের গ্রেড ,  কোন সিমেন্টে ফ্লাই অ্যাশ কম । নির্মাণ সামগ্রীর কেনার  আগে এগুলো একটু ভেবে চিন্তে কিনলে নির্মাণ খরচ কিছুটা কমানো সম্ভব।
  • সঠিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তার মাধ্যমে নির্মাণ খরচ কমানো সম্ভব। সাইটে বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী জান-মালের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ এবং নির্মাণ কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা (কাজের অগ্রগতি), সাইটে পানি সরবরাহ ও নিস্কাশন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সাইটে সহজ প্রবেশ পথ তৈরী এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা, প্রতিবেশীর সাথে সদ্ভাব বজায় রাখা ইত্যাদি।

আপনার পরবর্তী বাড়ি হিসেবে ডুপ্লেক্স ভাড়া নেওয়ার/দেওয়ার কথা ভাবছেন? ডুপ্লেক্স জীবনযাপনের সাথে একটি অ্যাপার্টমেন্ট বা একক পরিবারের বাড়িতে জীবনের মিল রয়েছে, তবে এটি তার নিজস্ব সুবিধা এবং অসুবিধার সাথে সম্পূর্ণ।

আমরা ডুপ্লেক্সে ভাড়া এবং বসবাসের কথা বিবেচনা করে যে কারও জন্য অপরিহার্য একটি তালিকা একত্র করেছি-সেগুলি পরীক্ষা করে দেখুন এবং দেখুন আপনি আপনার পরিবারের জন্য সঠিক আবাসন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন কিনা।এখন যেহেতু আমরা ডুপ্লেক্সে বসবাসের কম-গ্ল্যামারাস অংশগুলি আচ্ছাদিত করেছি, এখন অনেক সুবিধা পাওয়ার সময় এসেছে।

এখানে একটি ডুপ্লেক্স একটি দুর্দান্ত পরবর্তী বাড়ির জন্য তৈরি করতে পারে এমন কয়েকটি কারণ রয়েছে:এটি অনেকটা বাড়ির মতো মনে হতে পারে। অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে হলের নিচে অনেক প্রতিবেশী থাকার পরিবর্তে, ডুপ্লেক্সগুলি আপনার নিজের সামনের দরজা এবং গ্যারেজের সাথে বাড়ির মতো অনুভূতি দেয়।

সব ধরনের এলাকায় অ্যাপার্টমেন্ট বিদ্যমান – শহুরে, শহরতলী এবং মহানগর এলাকায়, ব্যবসায়িক জেলা এবং আরও অনেক কিছু। বেশিরভাগ ডুপ্লেক্স, তবে অন্যান্য ডুপ্লেক্স এবং একক পরিবারের ঘর দ্বারা বেষ্টিত এলাকায়। আপনি আশেপাশের বন্ধুত্ব এবং ভাইব পাবেন, এবং বেশিরভাগ সময়, আপনি এটি একক পরিবারের বাড়ির চেয়ে কম খরচে পাবেন।

Leave a Comment

error: Content is protected !!