Five star hotel in bangladesh
বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। এই দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদেরকে উন্নত করার চেষ্টায় সারা পৃথিবী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
পৃথিবীতে যেসব দেশ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ করে থাকেন তাদের তালিকায় বাংলাদেশ খানিকটা এগিয়েই থাকছে বেশ কয়েক বছর ধরে। আবার এমনও হচ্ছে যথেষ্ট সুবিধা ও অনুকূল পরিবেশের অভাবে অনেকেই বিনিয়োগ থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে বিদেশি লোকের আনাগোনা বিগত কয়েক দশকের তুলনায় এখন অনেকটাই বেশি।
এখনও যেসব দেশ আমাদের দেশে ভ্রমনে ও বিনিয়োগে আগ্রহী কিন্তু এদেশে আসছে না। তারও বেশ কিছু যৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি হল সু-ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত আন্তর্জাতিক মানের হোটেলের অভাব। যেখানে এসে তাঁরা কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে পারেন। মানুষের অপরিহার্য চাহিদার মধ্যে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান অন্যতম। একজন প্রথম শ্রেণীর দেশের নাগরিকের এই চাহিদা গুলো একটি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল অনাসেই পূরন করতে পারে।
দেশে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের হোটেল তৈরির হয়েছে। কয়েক বছর পূর্বেও তা ছিল হাতে গোনা। বলতে গেলে হোটেল সোনারগাঁ, সেরাটন, রেডিসন ব্লু ছিল অন্যতম। এই সময়ে এসে হোটেল লি মেরিডিয়ান, ঢাকা রিজেন্সি, ফোর পয়েন্ট বাই সেরাটন, হোটেল ওয়েস্টিনের মত বেশ কিছু ভালো মানের হোটেল যুক্ত হয়েছে। এই হোটেল গুলো নিয়মিত দারুন ভাবে অতিথি আপ্যায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেক জায়গায় অনেক ক্ষেত্রে অনেক সুনামও কুড়িয়েছে। এতে করে বিদেশিদের নিকট বাংলাদেশ সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে। এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের হোটেল গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। হোটেল তৈরির সাথে সাথে তৈরি হচ্ছে কর্মক্ষেত্র। বেকারত্ব দূরীকরণে হোটেল গুলো দারুন ভূমিকা পালন করছে।
এরই মধ্যে দেশের মানুষের কাছেও হোটেল গুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। একটা সময় মনে করা হত হোটেল গুলো শুধু বিদেশিদের জন্য আবার অনেকে ব্যয়ের কথা বিবেচনা করে যেতেও অনিহা প্রকাশ করতেন। এমন একটা সময় ছিল যখন দেশীয় অতিথি খুব একটা পাওয়া যেত না কিন্তু, সময় বদলেছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিন দিন দেশীয় অতিথির আনাগোনা বেড়েছে।
দেশে এক শ্রেণীর মানুষের কাছে হোটেল এখন প্রমোদের জায়গা হয়েছে। বিনোদনের জন্য ছুটে চলে হোটেলে। কেউ কেউ ব্যবসা বা ভ্রমনের জন্য ব্যবহার করছে। তবে এদের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে হোটেল ব্যবসা হয়ে উঠছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি আন্তর্জাতিক মানের হোটেল তৈরির কথা চিন্তা করা বেশ সাহসের কথা বটে। কিন্তু, এই সাহসীকতার পরিচয়ও দিচ্ছেন অনেক সফল ব্যবসায়ীরা। কারণ তারা এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন।
কিন্তু, কিছু প্রতিবন্ধকতার জন্য অনেকে আবার পিছিয়ে যান। তার মধ্যে অন্যতম হলো হোটেল তৈরির জন্য দক্ষ জনশক্তি। হ্যা হোটেল সিরিজের জন্য আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তির খুবই অভাব। যেমন খুবই অভাব তেমনি দক্ষ জনশক্তির খুবই প্রয়োজন।
হোটেল সিরিজের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিবছরই ইন্ডিয়া, চীন, জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও মালয়েশিয়ার মত দেশ গুলো থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানি করছে বাংলাদেশ। কারণ বাংলাদেশে আমার জানামতে এমন কোন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে সঠিক উপায়ে বিস্তারিত ভাবে হোটেলের উপর কোন প্রশিক্ষণ চালু রয়েছে।
কেউ যদি এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের আগ্রহ প্রকাশ করেন তবে তাকে দেশের বাইরে গিয়ে মোটা অংকের টাকা গুনে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসতে হয়। এই ভাবে দক্ষ জনশক্তির আমদানি করে এবং দক্ষতা অর্জনের জন্য বাইরে যেতে ঘরের টাকা শুধু পরের দিতে হচ্ছে।
এই সমস্ত যাবতীয় বিষয় বিবেচনা করে। আন্তর্জাতিক মানের হোটেল তৈরির উপর সম্পূর্ণ দক্ষ জনশক্তির উৎপাদন করে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী মানুষের জন্য আমার এই উদ্যোগ।
আমিই আপনাদের তৈরি করব দক্ষ হোটেল ইঞ্জিনিয়ার।
যদি আপনি ফাইভ স্টার হোটেল বুকিং সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই এই সাইটে ভিজিট করে বাংলাদেশের সেরা ফাইভ স্টার হোটেল যেকোনো সময় খুব সহজেই বুকিং দিতে পারবেন. ফাইভ স্টার হোটেল বুকিং করুন